আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মির ১৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সম্প্রতি রাখাইনে ফের অভিযান শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
রাখাইনে স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরকান আর্মির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে ফের অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম দিকে নতুন করে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষের জেরে পাঁচ হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
এ ধরনের সহিংসতা এই রাজ্যটিকে নতুন করে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। যা বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য আরেকটি উদ্বেগ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযান শুরু হলে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় সাড়ে সাত লাখেরও বেশি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম।
মিয়ানমার সেনাবহিনীর প্রধান জেনারেল তুন তুন নি শুক্রবার রাজধানী নেইপিডোতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চলতি মাসের ৪ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে এই অঞ্চলে আটটি সংঘর্ষ ও পাঁচটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ‘‘শত্রুপক্ষের’’ ১৩টি মরদেহ ও অস্ত্রসরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া আমাদের বেশ কিছু সেনা নিহত ও আহত হয়েছেন।’
আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য জানা যায়নি। তবে মিয়ানমারের বাইরে থাকা এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘সেনাবাহিনী পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে সেগুলো আমাদের দলের কারও নয়।’
গত ৪ জানুয়ারি রাখাইনের বুথিডংয়ে পুলিশের চারটি তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালায় আরাকান আর্মির কয়েকশ’ সদস্য। হামলায় পুলিশের ১৩ সদস্য নিহত হন। ওই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি ও আকাশ থেকে আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর প্রেক্ষিতে পাল্টা আক্রমণ করা হয়েছে বলে দাবি আরাকান আর্মির। এর পর থেকেই কঠোর অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
পাঠকের মতামত: